রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স একটি অদ্ভুত দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছে। ম্যাচটি শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে, কিন্তু এক অসাধারণ প্রতিরোধের মাধ্যমে লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজের সাহসিকতা প্রমাণ করে দিয়েছে, দলীয় সংকটেও কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়।

শুরুতেই বিপর্যয়

প্রথম দিনেই বাংলাদেশ দলের অবস্থা ছিল মারাত্মক। মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দলীয় বিপর্যয় চরমে পৌঁছে। দলের এই অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অল আউট হওয়ার শঙ্কা খুবই প্রকট। সেই সংকটপূর্ণ অবস্থায় লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ এসে পরবর্তীতে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেন।

লিটন দাসের চমকপ্রদ সেঞ্চুরি

২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মাঠে এসে লিটন দাস দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়ে, তারা বাংলাদেশকে ফলো-অন থেকে রক্ষা করেন। লিটন ১৭১ বল মোকাবেলা করে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, যা তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরি লিটনের ২৭ মাস পর সেঞ্চুরির খোঁজে ফেরার ইঙ্গিত দেয়।

মিরাজের সাথে রেকর্ড জুটি

লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ১৬৫ রানের পার্টনারশিপটি একটি নতুন রেকর্ড গড়েছে। ৫০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারানোর পর, সপ্তম উইকেটে এই অর্ধশতক জুটির মতো কিছু ঘটেনি আগে। মিরাজ ৭৮ রান করে আউট হলেও, তার অসাধারণ পারফরম্যান্স দলের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান ছিল।

সেঞ্চুরির পর লিটনের পরিবারের সমর্থন

লিটন দাসের সেঞ্চুরির পর, তার স্ত্রী দেবশ্রী বিশ্বাস সঞ্চিতা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট করেন। সেখানে লিটনের সেঞ্চুরি উদযাপন এবং পরিবারের সমর্থনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এই সেন্টুরির মুহূর্তটি লিটনের জন্য এবং তার পরিবারের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত ছিল।

বাংলাদেশের অবস্থা ও পরবর্তী পদক্ষেপ

বর্তমানে বাংলাদেশের স্কোর ৮ উইকেটে ২৩৭ রান। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হওয়ার পরে, বাংলাদেশ এখনো ৩৭ রানে পিছিয়ে আছে। লিটনের সেঞ্চুরি এবং মিরাজের পারফরম্যান্সের কারণে, বাংলাদেশ এখনো কক্ষপথে রয়েছে এবং পরবর্তী অংশে আরও ভালো কিছু করার সম্ভাবনা রয়েছে।