এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার স্থগিত অংশ আর অনুষ্ঠিত হবে না। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, ফলাফল কিভাবে নির্ধারণ হবে সে বিষয়ে পরে জানানো হবে।

এর আগে, হাজারো পরীক্ষার্থী দুপুরে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন এবং পরীক্ষার বাতিল দাবি করেন। তারা বলেন, এরইমধ্যে যে কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা হোক। আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী আহত হয়েছেন এবং পড়াশোনায়ও ক্ষতি হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।

পরীক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই সময় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভও করেন।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪ সালের ৩০ জুন শুরু হয়েছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে বেশ কয়েক দফা পরীক্ষা স্থগিত এবং পিছানো হয়। সবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষার পুনরায় সূচি ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পরীক্ষার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।

আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, পরীক্ষাগুলো অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে নেয়া হবে এবং নতুন পরীক্ষা শুরুর তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর থেকে দুই সপ্তাহ পিছানো হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে, এইচএসসি ও সমমানের বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করে তাদের অটোপাসের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে।