সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় নির্বাচিত হয়েছেন ৬,৫৩১ জন প্রার্থী। বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
প্রার্থীদের সংখ্যা ও জেলা ভিত্তিক ফলাফল
তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন। ফলাফলে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা থেকে, যেখানে ৮১২ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এর পরেই রয়েছে কুমিল্লা, যেখানে ৬৪১ জন এবং টাঙ্গাইল, যেখানে ৫৯৭ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
নিচে বিভিন্ন জেলার নির্বাচিত প্রার্থীর সংখ্যা দেওয়া হলো:
- চট্টগ্রাম: ৮১২ জন
- কুমিল্লা: ৬৪১ জন
- টাঙ্গাইল: ৫৯৭ জন
- কক্সবাজার: ১৮৫ জন
- চাঁদপুর: ৩৫৮ জন
- নোয়াখালী: ৩২৮ জন
- ফেনী: ১৩৭ জন
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ৩৪৯ জন
- লক্ষ্মীপুর: ৩২৭ জন
- কিশোরগঞ্জ: ২৮৮ জন
- গাজীপুর: ২৪১ জন
- গোপালগঞ্জ: ২৫৪ জন
- ঢাকা: ৩০৯ জন
- নরসিংদী: ২৬০ জন
- নারায়ণগঞ্জ: ১৮৪ জন
- ফরিদপুর: ২২৭ জন
- মাদারীপুর: ২০৮ জন
- মানিকগঞ্জ: ৩০১ জন
- মুন্সিগঞ্জ: ২২২ জন
- রাজবাড়ী: ১০৪ জন
- শরীয়তপুর: ১৯৯ জন
নিয়োগ প্রক্রিয়া
২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২৯ মার্চ এই ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ২২ এপ্রিল সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এরপর ৪৬,১৯৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। মৌখিক পরীক্ষাগুলি বিভিন্ন জেলার শিক্ষা অফিসে অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৮ মে, উচ্চ আদালত মৌখিক পরীক্ষার প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে আপিল বিভাগ সেই স্থগিতাদেশ খারিজ করে। এর ফলে মৌখিক পরীক্ষাগুলি অনুষ্ঠিত হয়।
ফলাফল দেখার লিংক
চূড়ান্ত ফলাফল দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ
এই ফলাফল প্রার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের জন্য অভিনন্দন। পাশাপাশি যারা নির্বাচিত হননি, তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। ভবিষ্যতে আরও সুযোগ আসবে, তাই মনোবল হারানো ঠিক নয়।
এখন প্রতিটি নির্বাচিত প্রার্থীর সামনে নতুন দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা খাতে তাদের অবদান দেশের শিক্ষার মান উন্নত করতে সহায়তা করবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে এবং ৬,৫৩১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রার্থীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যায়, এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
বাংলা নিউজ বিডি হাব/ সাবরিনা আক্তার তিথি