বাংলাদেশের আইনজীবী সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হলো ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পীর পদত্যাগ। সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী ২৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দ্বিতীয়বারের মতো ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। এই নিয়োগের পর, কিছু আইনজীবী বিশেষ করে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর, দেশের বেশিরভাগ আইন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। কিন্তু, সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পীসহ কয়েকজন আইন কর্মকর্তা এখনও তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২৮ আগস্টের পর, অন্তর্বর্তী সরকার আগের নিয়োগ বাতিল করে ৬৬ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ১৬১ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেয়। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পীও ছিলেন।

এ নতুন নিয়োগের পর, সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী, সাইফুদ্দিন খালেকসহ ১৫ জন আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আইনজীবীদের একাংশ অভিযোগ করেন যে, এই ১৫ জন ব্যক্তি আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এই বিক্ষোভের কারণে, সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান যে, পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

প্রসঙ্গত, সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার পুনর্নিয়োগ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সেই উত্তেজনার কারণে তিনি পদত্যাগ করেন।