রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে শীতের নতুন আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। শুক্রবার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া আলুর দাম এ সপ্তাহে ৭০ টাকা কেজিতে পৌঁছেছে। নতুন শীতকালীন আলুর দাম তো ১২০ টাকা কেজি।

আজকের বাজার দর

পণ্যমূল্য (BDT/কেজি)
নতুন আলু১২0
পুরোনো আলু৭০
দেশি পেঁয়াজ১৬০
চাষের শিং৩৫০ – ৪৫০
রুই মাছ৩৮০ – ৫০০
দেশি মাগুর৮০০ – ১,১০০
মৃগেল মাছ৩২০ – ৪০০
পাঙাশ২০০ – ২২০
চিংড়ি৭০০ – ১,৪০০
বোয়াল মাছ৫০০ – ৮০০
কই মাছ৪০০ – ৫০০
পোয়া মাছ৪৫০ – ৫০০
পাবদা মাছ৪০০ – ৪৫০
তেলাপিয়া মাছ২২০
মলা৫৫০
বাতাসি টেঙরা১,৩০০
টেঙরা মাছ৬০০ – ৮০০
কাচকি৫০০
পাঁচমিশালী২২০
রূপচাঁদা১,২০০
বাইম১,২০০ – ১,৪০০
দেশি কই১,২০০
শোল৬০০ – ৯০০
আইড়৬৫০ – ৮০০
বেলে৮০০
কাইক্ক্যা৬০০
ব্রয়লার মুরগি১৯০ – ২০০
সোনালি মুরগি৩৪০
সোনালি হাইব্রিড মুরগি৩০০
দেশি মুরগি৫২০
লেয়ার লাল মুরগি৩১০
সাদা লেয়ার২৯০
গরুর মাংস৬৫০ – ৮০০
গরুর কলিজা৮০০
গরুর মাথার মাংস৪৫০
গরুর বট৩৫০ – ৪০০
খাসির মাংস১,১৫০ – ১,২০০

মুদি ব্যবসায়ীদের মতে, খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে পারেন না, কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা আলুর বাজারে নানা জটিলতা তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন। এতে স্থির আয়ের লোকজন বিপাকে পড়েছেন। ফরহা নামের একজন মুদি ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা দাম বাড়াতে পারি না। কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা লাভ করি।”

এছাড়া পেঁয়াজ, মাছ ও মুরগির দামও বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের দাম ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা কেজি, চাষের শিং ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, এবং রুই মাছের দাম ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, তবে সোনালি মুরগির দাম ২০ টাকা বেড়ে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থির আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপার্জন না বাড়লেও নিত্যপণ্যের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাচ্ছে, ফলে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।