আগামীকাল শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে। এই প্রতিনিধিদলটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং ইউএসএআইডি (মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা) এর এশিয়া বিষয়ক উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌরের উপস্থিতিতে বৈঠক করবে।
প্রতিনিধিদলটি সরাসরি ওয়াশিংটন থেকে ঢাকায় আসছে না। তারা প্রথমে দিল্লি হয়ে ঢাকা আসবে। ডোনাল্ড লু বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এবং সেখানে ওয়াশিংটন-দিল্লি প্রতিরক্ষাবিষয়ক ইন্টারসেশনাল সংলাপে অংশগ্রহণ করবেন। এরপর তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন এবং ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
ঢাকায় তাদের সফরের সময়, তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেছেন, এই সফর বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। তিনি জানিয়েছেন, আলোচনায় বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, সংস্কার এবং দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান সংকট উত্তরণে কীভাবে সহায়তা করতে পারে তা জানার চেষ্টা করবে।
এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ও সহায়তার দিকনির্দেশনা প্রদান করা। বিশেষ করে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংকট এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন, তা বোঝার চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় এসে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করবেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া, তারা ঢাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এছাড়া, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সংস্কার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে। এই সফরের সময় ইউএসএআইডি হতে ২০০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা চুক্তি সই হতে পারে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তারা বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সহায়তা করতে আগ্রহী।
সার্বিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সফর বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ানোর এবং দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা ও সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।