বাংলাদেশের ১৩টি জেলার উপর দিয়ে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বিশেষ করে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোর জন্য ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বিশদ

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এসব এলাকার উপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি মেঘলা আকাশ এবং প্রচুর বৃষ্টির সম্ভাবনাও ইঙ্গিত করছে।

আবহাওয়া অফিসের নতুন সতর্কবার্তা

বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এর সাথে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।

পরবর্তী দিনগুলোর পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন দিন দেশের ৮ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এই সময় দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে, তবে সোমবার ও মঙ্গলবার তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় সতর্কতা

উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

পূর্বাভাসের পিছনের কারণ

আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার থেকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশে সক্রিয়। এজন্য সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সারসংক্ষেপ

বাংলাদেশের ১৩টি জেলায় আগামী কয়েক দিনে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবৃষ্টি ও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি বিশেষ করে নদীবন্দর এলাকাগুলির জন্য এক নম্বর সতর্ক সংকেতের বিষয়বস্তু। সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় তীব্র সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

FAQs

১. কোন অঞ্চলগুলোতে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে?

উত্তর: টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে।

২. ঝোড়ো হাওয়ার বেগ কত হতে পারে?

উত্তর: ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার।

৩. সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য কী ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে?

উত্তর: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

৪. আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে কি?

উত্তর: দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে, তবে কিছু জায়গায় ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

৫. লঘুচাপের প্রভাবে কী ধরনের আবহাওয়া হতে পারে?

উত্তর: ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ এবং বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

৬. বাংলাদেশের কোন এলাকার নদীবন্দরকে সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে?

উত্তর: নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

৭. মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোর জন্য কী নির্দেশনা রয়েছে?

উত্তর: উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

৮. মৌসুমি বায়ু কীভাবে বাংলাদেশের আবহাওয়াকে প্রভাবিত করছে?

উত্তর: মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

৯. কী কারণে এই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে?

উত্তর: লঘুচাপ এবং মৌসুমি বায়ুর অক্ষের প্রভাবে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

১০. ঢাকায় কেমন আবহাওয়া থাকবে?

উত্তর: ঢাকায় দমকা হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, এবং তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।