বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই লঘুচাপের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুই দিন ঢাকা, খুলনা, সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলে দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ ১৮ অক্টোবর, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, সিলেট ও অন্যান্য বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে, কিন্তু রাতের তাপমাত্রা তেমন পরিবর্তন হবে না।

শনিবার, ১৯ অক্টোবর সকাল ৯টার পরেও একই ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে। ঢাকার পাশাপাশি ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেটের কিছু স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

রোববার, ২০ অক্টোবরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে, কিন্তু আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের ছয়টি অঞ্চলে সন্ধ্যার মধ্যে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাবনা, বগুড়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রামের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। দেশের সব বিভাগে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাপমাত্রা কমার কথা জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ। ঢাকায় মাত্র ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ১৭ লাখ, যার মধ্যে ৬.৫ শতাংশের অবস্থা গুরুতর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা মানুষের সংখ্যা ১১০ কোটি, তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই সংঘাতকবলিত দেশের বাসিন্দা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে অতিদারিদ্র্যের হার কমেছে। ২০২২ সালের জরিপ অনুযায়ী, দেশের ১৮.৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে, যার মধ্যে ৫.৬ শতাংশ অতিদারিদ্র্যের অবস্থায় রয়েছে।

বিশ্বব্যাপী এই দারিদ্র্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি বৈশ্বিক দারিদ্র্যের সাথে তুলনা করলে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, গত কয়েক বছরে অর্থনৈতিক সমস্যা ও ডলার সংকটের কারণে দারিদ্র্যের অবনতি হয়েছে।

অবশ্য, শিশুদের মধ্যে দারিদ্র্যের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। বিশ্বের চরম দারিদ্র্যে থাকা মানুষের মধ্যে ৫৮ কোটি ৪০ লাখ শিশু রয়েছে।

এদিকে, বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে, এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং আগামীকাল থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে।

আশা করা হচ্ছে, আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের ফলে আমাদের জীবনযাত্রায় কিছুটা প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে কৃষি ও পরিবহন ক্ষেত্রে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া নিয়ে এসব তথ্য জানিয়ে আমরা আশা করি, সবাই সতর্ক ও প্রস্তুত থাকবে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিও হওয়া উচিত।