আমার ‌কিছু হলে এর দায় কাজী মামুন ও সংশ্লিষ্ট ট্রাস্ট সদস্যদের ওপর বর্তাবে : এরিক এরশাদ – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



জাতীয় পা‌র্টি মহাস‌চিব (রওশনপন্থি) কা‌জী মামুন‌ ‘এরশাদ ট্রাস্ট’ জোর করে দখলে রেখেছেন-এমন অভিযোগ তুলে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চে‌য়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর চিঠি দিয়েছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে শাহাতা জারাব এরিক এরশাদ। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) উপ‌দেষ্টা বরাবর পাঠানো চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার দৈনন্দিন জীবন পরিচালনায় কোনো ক্ষতি হলে সেটার দায়ভার কাজী মামুন ও সংশ্লিষ্ট ট্রাস্ট সদস্যদের ওপর বর্তাবে।

এরিক এরশাদ লিখেন, আমি শাহাতা জারাব এরিক এরশাদ, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সন্তান। আমার ভবিষ্যৎ জীবনযাপনের নিরাপত্তার জন্য আমার পিতা ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট’ গঠন করেন, যার একমাত্র সুবিধাভোগী আমি। অতিসম্প্রতি (১০ জানুয়ারি) অবগত হই, ট্রাস্টের অবৈধ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনপ্রশাসন বিভাগে আমার নিরাপত্তা ও ট্রাস্টের নীতিমালা রক্ষার্থে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের জন্য একটি আবেদন দাখিল করেছেন।

তিনি আরও লিখেন, ‘আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই, আমি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কোনো ঝুঁকির মধ্যে নেই। ইতোমধ্যে আমি পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে পত্রের মাধ্যমে ট্রাস্টের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মামুন ও বর্তমান অবৈধ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ট্রাস্ট-সংক্রান্ত অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পারি, কাজী মামুন শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীরকে অবৈধ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেছেন; যা আমার অগোচ‌রে এবং যথাযথ রেজুলেশন বা সদস্যদের মতামত গ্রহণ ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ট্রাস্টের নির্ভরযোগ্য আয়ের অভাবে আমি কেবল দুটি অ্যাপার্টমেন্ট ও একটি দোকান ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল, যা আমার দৈনন্দিন খরচ মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। ফলে আমাকে নিয়মিতভাবে মায়ের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিতে হচ্ছে। অথচ, কাজী মামুন ও ট্রাস্টের অন্যান্য সদস্যরা আমার মায়ের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য ছড়িয়ে আমার ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করছেন। আমার মায়ের কাছ থেকে আমাকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।

এমতাবস্থায়, আমার দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা ও চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি আমার শারীরিক বা মানসিক কোনো ক্ষতি হয়, তার সম্পূর্ণ দায়ভার কাজী মামুন ও সংশ্লিষ্ট ট্রাস্ট সদস্যদের ওপর বর্তাবে। আমি একাধিকবার কাজী মামুন এবং ফখর-উজ জামান জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা সব সময় সময়ক্ষেপণ ও তালবাহানা করছেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ট্রাস্টের হিসাব বুঝিয়ে দিচ্ছেন না।

চিঠিতে এরিক এরশাদ আরও লিখেন, ট্রাস্টের স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ আমার ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় কাজী মামুনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ট্রাস্টের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাব স্বাভাবিক করতে আপনার (স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা) সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ট্রাস্টের মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। ট্রাস্টের একমাত্র সুবিধাভোগী হওয়া সত্ত্বেও গত দুই বছর ধরে আমি ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাব থেকে কোনো অর্থ উত্তোলন করতে পারিনি। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কাজী মামুন ট্রাস্টের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের সঠিক তথ্য প্রদান করেননি। এ ছাড়াও তিনি সাম্প্রতিক ধর্ষণসহ বিভিন্ন মামলায় আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

সূত্র : ইত্তেফাক

  • এরশাদ ট্রাস্ট
  • এরিক এরশাদ
  • কা‌জী মামুন‌
  • জাতীয় পার্টি
  • মহাসচিব
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।