
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি নেজাম উদ্দিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। এরপর বিএনপি নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করে স্লোগান দিতে থাকে।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার পাসপোর্ট অফিস থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে অপমান করেছে। মারধরের জেরে তার পরনের শার্ট ছিঁড়ে যায়। পরে বিকেলে তার বিচারের দাবিতে পাঁচলাইশ থানার সামনে বিক্ষোভ করেন বিএনপি ও স্বচ্ছসেবক দলের নেতারা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় অবস্থিত স্কুল থেকে ছেলেটিকে আনতে যান পুলিশ পরিদর্শক নেজাম উদ্দিন। তিনি পাসপোর্ট অফিসের সামনে প্রাইভেটকার থেকে নামলে চকবাজার থানার সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
শহিদুল ইসলাম জানান, পাসপোর্ট অফিসের সামনে গাড়ি থেকে নামেন তিনি। তাকে দেখে আমরা কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরলাম। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে চাই। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
পুলিশ কর্মকর্তাকে হয়রানি বা শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি তার কলার চেপে ধরেছি। তার সাথে অন্য কিছু করা হয়নি। আমরা তাকে একটি টোকাও দেইনি।
শাহেদ অভিযোগ করে বলেন, তিনি কোতয়ালী থানা ও বাকলিয়া থানার ওসি থাকাকালে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা নাশকতার মামলা দায়ের করেন। আমরা ঘরে থাকতে পারিনি। মামলা করে লাখ লাখ টাকা চুরি করেছে। তারা তাকে গ্রেফতার করে বিচার দাবি করে।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলায়মান ও সিএমপির পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার আরিফ হোসেন কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
তবে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি, বাকলিয়া ও পটিয়া থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা সিআইডিতে কর্মরত।