বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্য আলোচনার ঝড় তুলেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম এই প্রসঙ্গে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি যদি বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের ডকুমেন্টস তার কাছে নেই, তাহলে এ বিষয়ে ছাত্র সমাজের প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটি তাদেরই নির্ধারণ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের প্রভাব

সারজিস আলম সোমবার (২১ অক্টোবর) ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের গোলটেবিল আলোচনায় এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যদি চুপ্পুর মতো বক্তব্য দেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?” এখানে তিনি ছাত্র সমাজের ভূমিকা ও অবস্থানের উপর জোর দিয়েছেন।

সারজিস আরও জানান, রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের পর দেশের ছাত্র সমাজের মধ্যে একটি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তার বক্তব্যের ফলে ছাত্র আন্দোলন নতুন করে জেগে উঠতে পারে।

জাতীয় পার্টির সমালোচনা

এছাড়া সারজিস আলম জাতীয় পার্টিকে নিয়ে বলেন, “জাতীয় পার্টি হলো একটি বিবেকহীন দল। তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট দিয়েছে, তাই তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা করার কোনো যুক্তি নেই।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি জাতীয় পার্টির প্রতি তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ

সারজিস আলম ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে রাজপথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট সিস্টেম এখনো সরেনি। বিভিন্ন এজেন্সি ও কুচক্রী মহল দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।” তিনি সতর্ক করে দেন যে, প্রয়োজনে ছাত্র আন্দোলন আবারও রাজপথে নামতে প্রস্তুত রয়েছে।

ছাত্র সমাজের ভূমিকা

ছাত্র আন্দোলনগুলোর মধ্যে এই প্রতিক্রিয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্র সমাজের দাবি এবং প্রতিক্রিয়া সরকারের প্রতি একটি শক্তিশালী সংকেত হিসেবে কাজ করতে পারে। সারজিস আলমের বক্তব্য ছাত্রদের মধ্যে উজ্জীবন সৃষ্টি করেছে এবং তাদের সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সারজিস আলমের মন্তব্য স্পষ্ট করে দেয়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ছাত্র সমাজের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র আন্দোলন আরও জোরদার হতে পারে এবং তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে হচ্ছে। ছাত্র সমাজের একতাবদ্ধতা এবং সক্রিয়তা আগামী দিনে রাজনৈতিক পরিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।