এই পোস্টে কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা ঘটনা আছে যাদের কথা উঠে আসতে পারে বা নাও আসতে পারে, তবে তাদের ভূমিকা ছিল অতীব গুরুত্বপূর্ণ কোন এক সময়। করাণ সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে।
১. প্রাচীন বাংলা (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ – খ্রিষ্টাব্দ ১২০০)
বাংলার প্রাচীন ইতিহাস বহুমুখী এবং বৈচিত্র্যময়। এখানে প্রাচীন সভ্যতার প্রমাণ বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার ও খনন দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে।
- পূর্ব-ঐতিহাসিক কাল: বাংলার ইতিহাসের প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষের বসবাস ও সভ্যতার প্রথম দিকের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাম্রযুগ ও ব্রোঞ্জযুগে বাংলার ভেতরে কৃষি ও বাসস্থানের প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাচীন সভ্যতা যেমন মৌর্য ও গুপ্ত সাম্রাজ্য বাংলায় প্রভাব বিস্তার করে।
- মৌর্য সাম্রাজ্য (খ্রিষ্টপূর্ব ৩২২ – ১৮৫): মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসনামলে বাংলার অনেক অংশ তাদের অধীনে আসে। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও আশোকা মৌর্য বাংলায় বিভিন্ন সংস্কার ও ধর্ম প্রচারের উদ্যোগ নেন।
- গুপ্ত সাম্রাজ্য (৩২০ – ৫৫০): গুপ্ত সাম্রাজ্য বাংলায় গৌরবময় সাংস্কৃতিক বিকাশের সূচনা করে। এই সময়ে বাংলা শিক্ষায়, সাহিত্য ও কূটনীতি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে।
২. মধ্যযুগ (১২১০ – ১৭৫৭)
মধ্যযুগে বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে।
- মুয়াজ্জিন শাসন (১২১০ – ১৫০০): ১২১০ সালে শের শাহ বাংলায় প্রবেশ করেন এবং সুদৃঢ় প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করেন। তার শাসনকাল বাংলায় অর্থনৈতিক উন্নতি এবং প্রশাসনিক সংস্কারের চিহ্ন রেখে যায়।
- মুঘল সাম্রাজ্য (১৫২৬ – ১৭৫৭): মুঘল সাম্রাজ্য বাংলায় প্রবলভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। আকবর, জাহাঙ্গীর, শাহজাহান ও আওরঙ্গজেবের শাসনামলে বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উত্থান ঘটে। মুঘলদের শাসন বাংলায় সুবর্ণযুগের সূচনা করে।
- বঙ্গবাসী নবাবদের শাসন (১৭২৭ – ১৭৫৭): মুঘল সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নবাবদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সিরাজউদ্দৌলা নবাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন, যিনি বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
৩. ব্রিটিশ ভারত (১৭৫৭ – ১৯৪৭)
ব্রিটিশদের অধীনে বাংলা একটি নতুন রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পর্বে প্রবেশ করে।
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন (১৭৫৭ – ১৮৫৭): ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে ইংল্যান্ডের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জয় বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের সূচনা করে। কোম্পানি বাংলায় শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং অর্থনৈতিক শোষণ শুরু করে।
- ব্রিটিশ রাজত্ব (১৮৫৮ – ১৯৪৭): ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র স্থাপিত হলে বাংলায় বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার হয়।
- বিভাগীয় সংস্কার ও রাজনীতি: ১৯০৫ সালে বাংলার প্রথম বিভাগ ঘটে, যা ১৯১১ সালে পুনরায় একত্রিত হয়। ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলার রাজনীতি অনেকটা অস্থির হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ভাষা আন্দোলন, মুক্তি আন্দোলন এবং রাজনৈতিক দাবিদাওয়া প্রচলিত হয়।
- বিভাগীয় আন্দোলন ও রাজনৈতিক অস্থিরতা: ১৯৩০ এবং ১৯৪০-এর দশকে রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি নতুন ধারা শুরু হয়। মুসলিম লীগের নেতৃত্বে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের একটি নতুন পর্যায় আসে এবং আলাদা পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবি তোলা হয়।
৪. ভাষা আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলন (১৯৪৭ পূর্ববর্তী)
ব্রিটিশ রাজত্বের শেষের দিকে বাংলায় নানা গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ঘটে।
- ভাষা আন্দোলন (১৯৫২): বাংলার ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সক্রিয়ভাবে আন্দোলন শুরু করে। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ তারিখে ছাত্রদের প্রতিবাদ আন্দোলন গণহত্যার শিকার হয়, যা পরবর্তীকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
- স্বাধীনতা আন্দোলন: ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মুসলিম লীগ এবং কংগ্রেসের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেয়। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর বাংলা দুই ভাগে বিভক্ত হয়—পশ্চিমবঙ্গ (ভারতের অংশ) এবং পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)।
১. পূর্ব পাকিস্তান (১৯৪৭ – ১৯৭১)
১.১ প্রতিষ্ঠা এবং প্রথম বছরগুলি
- ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট: ভারতবর্ষের বিভাজনের পর পূর্ব বাংলাকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়, যার নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান। এটি বাংলাভাষী মুসলিমদের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক পরিচয় অর্জন করেছিল।
- প্রথম কিছু বছর: প্রথম দিকে পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কাঠামো উন্নত করার চেষ্টা করা হয়। তবে, বাংলাভাষী মানুষের বিরুদ্ধে উর্দু ভাষার চাপ এবং রাজনৈতিক বৈষম্যের কারণে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়।
১.২ রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনা
- ৫২’র ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালে ঢাকায় ভাষার অধিকার রক্ষায় আন্দোলন চলাকালে পুলিশি নির্যাতনে ছাত্রদের মৃত্যু ঘটে। এই আন্দোলন পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
- ৬০’র দশকের রাজনৈতিক অস্থিরতা: ১৯৬০ এর দশকে আওয়ামী লীগ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
- ৭০-এর নির্বাচনী বিজয়: ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় লাভ করে, যার নেতৃত্বে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন।
১.৩ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জন
- ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ: ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধের পর, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে এবং একটি নতুন জাতির উদ্ভব ঘটে।
২. স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দশক (১৯৭১ – ১৯৮১)
২.১ জাতির পুনর্গঠন
- প্রথম সরকার: মুক্তিযুদ্ধের পর, শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রাথমিক সরকার গঠিত হয়। নতুন রাষ্ট্রের জন্য সংবিধান প্রণয়ন, পুনর্গঠন এবং উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়।
- অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন: দেশটি পরবর্তী দশকে শিক্ষায়, স্বাস্থ্যসেবা এবং অবকাঠামোতে উন্নতি করার প্রচেষ্টা চালায়।
২.২ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামরিক শাসন
- পল্টন আন্দোলন ও সামরিক শাসন: ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড এবং সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার ফলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।
- জিয়াউর রহমানের শাসন (১৯৭৫ – ১৯৮১): সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং নতুন রাজনৈতিক দল বিডিপি প্রতিষ্ঠা করেন।
৩. গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা (১৯৮১ – ২০০১)
৩.১ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা
- অভিনব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া: ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন ঘটে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের পার্লামেন্টারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
- গণতন্ত্রের উন্নতি: বিভিন্ন সরকারের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়।
১৯৮৮ সালের চতুর্থ সাধারণ নির্বাচন
১৯৮৮ সালের ৩রা মার্চ অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রধান রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল, যেমন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ, ন্যাপ (মুজাফ্ফর) এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বিজয়ী হয় এবং ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৫১টি আসন লাভ করে। মোট ভোটারদের মধ্যে ৫২.৫% ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।
৯৮৮ সালের চতুর্থ সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশে ৩রা মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, কারণ এটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
নির্বাচনের প্রেক্ষাপট
- অবস্থা: ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত ছিল। রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা) কর্তৃক পরিচালিত সরকার বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল।
- বর্জনকারী দলগুলো: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ, ন্যাপ (মুজাফ্ফর) এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচন বর্জন করে।
নির্বাচনের ফলাফল
- জয়ী দল: জাতীয় পার্টি
- আসন সংখ্যা: জাতীয় পার্টি ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৫১টি আসন লাভ করে।
- ভোটগ্রহণ: মোট ভোটারদের মধ্যে ৫২.৫% ভোট গ্রহণ করা হয়।
নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি
- বিভিন্ন দলের প্রতিক্রিয়া: নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংঘাতের জন্ম দেয়। বিরোধী দলগুলো নির্বাচনকে অস্বীকার করে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
- আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
রাজনৈতিক প্রভাব
- জাতীয় পার্টির ক্ষমতা: জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকার পরও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়নি এবং বহু দলের মধ্যে মতবিরোধ ও সংঘাত চলতে থাকে।
- বর্তমান প্রভাব: এই নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয় এবং দেশটির রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলে।
ফলাফল
৩.২ রাজনৈতিক সংকট ও সমাধান
- ৯০’র গণঅভ্যুত্থান: ১৯৯০ সালে রাজনৈতিক আন্দোলন ঘটে, যা শেষ পর্যন্ত এরশাদের শাসন ব্যবস্থাকে ভেঙে দেয় এবং গণতান্ত্রিক সরকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঘটে।
- নতুন যুগের সূচনা: ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সরকার গঠন হয়।
১৯৯১ সালের নির্বাচন
১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা ছিল। এই নির্বাচনটি ১৯৯০ সালের জনগণের আন্দোলনের ফলস্বরূপ অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম নির্বাচন ছিল। প্রধান ঘটনাগুলো হলো:
- নির্বাচনের পটভূমি: ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়। এই সরকার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়।
- ১৯৯১ সালের নির্বাচন: ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও আওয়ামী লীগ। বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন খালেদা জিয়া এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ হাসিনা।
- নির্বাচনের ফলাফল: বিএনপি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে এবং ৩০০ আসনের মধ্যে ১৪৬টি আসন জয়লাভ করে। বিএনপি জোটের বিজয়ের ফলে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন। আওয়ামী লীগ ১৪০টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা গ্রহণ করে।
- বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়া: নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলে এবং বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করে।
ফলাফল
দল | ভোট | % | আসন | +/– | |
---|---|---|---|---|---|
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল | ১,০৫,০৭,৫৪৯ | ৩০.৮১ | ১৪০ | নতুন | |
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | ১,০২,৫৯,৮৬৬ | ৩০.০৮ | ৮৮ | নতুন | |
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী | ৪১,৩৬,৬৬১ | ১২.১৩ | ১৮ | নতুন | |
জাতীয় পার্টি | ৪০,৬৩,৫৩৭ | ১১.৯২ | ৩৫ | –২১৬ | |
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ | ৬,১৬,০১৪ | ১.৮১ | ৫ | নতুন | |
জাকের পার্টি | ৪,১৭,৭৩৭ | ১.২২ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি | ৪,০৭,৫১৫ | ১.১৯ | ৫ | নতুন | |
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব) | ২,৬৯,৪৫১ | ০.৭৯ | ০ | নতুন | |
ইসলামী ঐক্যজোট | ২,৬৯,৪৩৪ | ০.৭৯ | ১ | নতুন | |
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (মুজাফফর) | ২,৫৯,৯৭৮ | ০.৭৬ | ১ | নতুন | |
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (ইনু) | ১,৭১,০১১ | ০.৫ | ০ | নতুন | |
গণতন্ত্রী পার্টি | ১,৫২,৫২৯ | ০.৪৫ | ১ | নতুন | |
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি | ১,২১,৯১৮ | ০.৩৬ | ১ | নতুন | |
বাংলাদেশ জনতা দল | ১,২০,৭২৯ | ০.৩৫ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ | ১,১০,৫১৭ | ০.৩২ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ খিলাফত আন্দোলন | ৯৩,০৪৯ | ০.২৭ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি | ৯০,৭৮১ | ০.২৭ | ০ | –২ | |
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (সিরাজ) | ৮৪,২৭৬ | ০.২৫ | ১ | –২ | |
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (আয়েন উদ্দীন) | ৬৬,৫৬৫ | ০.২ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি | ৬৩,৪৩৪ | ০.১৯ | ১ | নতুন | |
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (খালিকুজ্জামান) | ৩৪,৮৬৮ | ০.১ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (কাদের) | ৩২,৬৯৩ | ০.১ | ০ | নতুন | |
জনতা মুক্তি পার্টি | ৩০,৯৬২ | ০.০৯ | ০ | নতুন | |
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি | ২৪,৭৬১ | ০.০৭ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ইনিকিলাব পার্টি | ২৪,৩১০ | ০.০৭ | ০ | নতুন | |
জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট | ২১,৬২৪ | ০.০৬ | ০ | নতুন | |
জাতীয় জনতা পার্টি এবং গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট | ২০,৫৬৮ | ০.০৬ | ০ | নতুন | |
জামায়াতে ওলামায়ে ইসলামী ফ্রণ্ট | ১৫,০৭৩ | ০.০৪ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মাহবুব) | ১৩,৪১৩ | ০.০৪ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ হিন্দু লীগ | ১১,৯৪১ | ০.০৪ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) | ১১,২৭৫ | ০.০৩ | ০ | নতুন | |
ঐক্য প্রক্রিয়া | ১১,০৭৪ | ০.০৩ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (মতিন) | ১১,০৭৩ | ০.০৩ | ০ | নতুন | |
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) | ৯,১২৯ | ০.০৩ | ০ | নতুন | |
প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল | ৬,৬৭৭ | ০.০২ | ০ | নতুন | |
শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল | ৬,৩৯৬ | ০.০২ | ০ | নতুন | |
জাতীয় বিপ্লবী ফ্রন্ট | ৩,৬৭১ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি | ৩,৫৯৮ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
জাতীয় জনতা পার্টি (আশরাফ) | ৩,১৮৭ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি দল | ৩,১১৫ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (ইউসুফ) | ২,৭৫৭ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
জাতীয় যুক্তফ্রন্ট | ২,৬৬৮ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
জাতীয় জনতা পার্টি (আসাদ) | ১,৫৭০ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেস | ১,৪২১ | ০ | ০ | নতুন | |
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক চাষী দল | ১,৩১৭ | ০ | ০ | নতুন | |
গণ আজাদী লীগ (সামাদ) | ১,৩১৪ | ০ | ০ | নতুন | |
জনশক্তি পার্টি | ১,২৬৩ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি | ১,২৩৬ | ০ | ০ | নতুন | |
ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ | ১,০৩৯ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ফ্রিডম লীগ | ১,০৩৪ | ০ | ০ | নতুন | |
পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি | ৮৭৯ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ পিপলস লীগ (গরীবে নেওয়াজ) | ৭৪২ | ০ | ০ | নতুন | |
জাতীয় মুক্তি দল | ৭২৩ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ জন পরিষদ | ৬৮৬ | ০ | ০ | নতুন | |
মুসলিম পিপলস পার্টি | ৫১৫ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন | ৫০৩ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হিন্দু পার্টি | ৫০২ | ০ | ০ | নতুন | |
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল | ৪৯৬ | ০ | ০ | নতুন | |
ডেমোক্রেটিক লীগ | ৪৫৩ | ০ | ০ | নতুন | |
ধূমপান ও মাদকদ্রব্য নিবারনকারী মানব সেবা সংস্থা (জিফসা) | ৪৫৩ | ০ | ০ | নতুন | |
জাতীয় তরুণ সংঘ | ৪১৭ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ লেবার পার্টি | ৩১৮ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ মানবতাবাদী দল (বামাদ) | ২৯৪ | ০ | ০ | নতুন | |
আইডিয়েল পার্টি | ২৫১ | ০ | ০ | নতুন | |
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (সাদেকুর রহমান) | ২৪৮ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ খিলাফত পার্টি | ২৪১ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ইসলামী বিপ্লবী পরিষদ | ২১৪ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট | ২০২ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ বেকার সমাজ | ১৮২ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ আদর্শ কৃষক দল | ১৫৪ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ইসলামী রিপাবলিকান পার্টি | ১৩৮ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ বেকার পার্টি | ৩৯ | ০ | ০ | নতুন | |
জাতীয় শ্রমজীবী পার্টি | ২৮ | ০ | ০ | নতুন | |
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (নুর মোঃ কাজী) | ২৭ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ জাতীয় পিপলস পার্টি | ২৫ | ০ | ০ | নতুন | |
স্বতন্ত্র | ১৪,৯৭,৩৬৯ | ৪.৩৯ | ৩ | –২২ | |
মোট | ৩,৪১,০৩,৬৭৭ | ১০০ | ৩০০ | ০ | |
বৈধ ভোট | ৩,৪১,০৩,৭৭৭ | ৯৮.৯২ | |||
অবৈধ/ফাঁকা ভোট | ৩,৭৪,০২৬ | ১.০৮ | |||
মোট ভোট | ৩,৪৪,৭৭,৮০৩ | ১০০ | |||
নিবন্ধিত ভোটার/ভোটদান | ৬,২১,৮১,৭৪৩ | ৫৫.৪৫ |
১৯৯৬ সালের নির্বাচন
১৯৯৬ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল, কারণ এটি দুইটি পৃথক সময়ে অনুষ্ঠিত হয় এবং গণতন্ত্রের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এই নির্বাচন দুটি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়: একে “১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচন” এবং “১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচন” হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচন:
- নির্বাচনের পটভূমি:
- ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসে এবং খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯৪ সালে বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা সংসদের মেয়াদ তিন বছর বাড়ানোর উদ্যোগ নিলে এটি বিরোধী দল এবং জনগণের মধ্যে ব্যাপক বিরোধিতা সৃষ্টি করে।
- ১৯৯৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একপাক্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এটি আন্তর্জাতিকভাবে এবং দেশের অভ্যন্তরে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত হয়। নির্বাচনে বিরোধী পক্ষের অভিযোগ ছিল যে এটি প্রহসনের নির্বাচন।
- জুন ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন:
- ১৯৯৬ সালের ১২ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়, যার প্রধান ছিলেন হোসেন মুহাম্মদ এরশাদ।
- আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে শেখ হাসিনা এবং বিএনপি নেতৃত্বে খালেদা জিয়া প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।
- নির্বাচনের ফলাফল:
- আওয়ামী লীগ নির্বাচন বিজয়ী হয় এবং ৩০০ আসনের মধ্যে ১৪৫টি আসন লাভ করে।
- শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন এবং আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।
১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচন:
- নির্বাচনের পটভূমি:
- ১৯৯৬ সালের জুনে নির্বাচনের পর, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাত অব্যাহত ছিল। বিভিন্ন বিরোধী পক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়।
- ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের সময় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে আবারও নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
- ডিসেম্বর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের জন্য নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন:
- এই নির্বাচনটি ১৯৯৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন লতিফুর রহমান।
- নির্বাচনের ফলাফল:
- আওয়ামী লীগ একটি নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে এবং ৩০০ আসনের মধ্যে ১৪৭টি আসন লাভ করে।
- শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন এবং নতুন সরকারের অধীনে দেশ পরিচালনা শুরু করেন।
নির্বাচনের পরবর্তী প্রভাব:
- ১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচন: নির্বাচনী ফলাফল এবং প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা থাকলেও, এটি রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটায় এবং আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনে।
- ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচন: এই নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে জনগণের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা ফিরে আসে।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্থিতিশীলতা এবং রাজনৈতিক স্থিতি ফিরে আসতে সহায়তা করে।
দল | ভোট | % | আসন | +/– | |
---|---|---|---|---|---|
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | ১,৫৮,৮২,৭৯২ | ৩৭.৪৪ | ১৪৬ | নতুন | |
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল | ১,৪২,৫৫,৯৮৬ | ৩৩.৬১ | ১১৬ | –১৮৪ | |
জাতীয় পার্টি | ৬৯,৫৪,৯৮১ | ১৬.৪ | ৩২ | নতুন | |
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী | ৩৬,৫৩,০১৩ | ৮.৬১ | ৩ | নতুন | |
ইসলামী ঐক্যজোট | ৪,৬১,৫১৭ | ১.০৯ | ১ | নতুন | |
জাকের পার্টি | ১,৬৭,৫৯৭ | ০.৪ | ০ | নতুন | |
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব) | ৯৭,৯১৬ | ০.২৩ | ১ | নতুন | |
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি | ৫৬,৪০৪ | ০.১৩ | ০ | নতুন | |
গণফোরাম | ৫৪,২৫০ | ০.১৩ | ০ | নতুন | |
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) | ৫০,৯৪৪ | ০.১২ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি | ৪৮,৫৪৯ | ০.১১ | ০ | নতুন | |
জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ | ৪৫,৫৮৫ | ০.১১ | ০ | নতুন | |
সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ | ৪০,৮০৩ | ০.১ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি | ৩৮,৯৭৪ | ০.০৯ | ০ | নতুন | |
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আন্দোলন | ২৭,০৮৩ | ০.০৬ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রণ্ট | ২৩,৬৯৬ | ০.০৬ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ খিলাফত আন্দোলন | ১৮,৩৯৭ | ০.০৪ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আওয়ামী লীগ | ১১,১৯০ | ০.০৩ | ০ | নতুন | |
ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন | ১১,১৫৯ | ০.০৩ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (খালিকুজ্জামান) | ১০,২৩৪ | ০.০২ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মাহবুব) | ৬,৭৯১ | ০.০২ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী) | ৫,৯৪৮ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (জমীর আলী) | ৪,৫৮০ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
গণতন্ত্রী পার্টি | ৪,১১৪ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) | ৩,৬২০ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান পার্টি | ৩,৬০৫ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ জনতা পার্টি | ৩,৩৬৪ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
জাতীয় জনতা পার্টি (নুরুল ইসলাম) | ২,৯৮৬ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
জাতীয় জনতা পার্টি (শেখ আসাদ) | ২,৩৯৫ | ০.০১ | ০ | নতুন | |
সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি | ১,৯৩৮ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ | ১,৬৮৩ | ০ | ০ | নতুন | |
প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল | ১,৫১৫ | ০ | ০ | নতুন | |
হক কথার মঞ্চ | ১,৩৪০ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) | ১,১৪৮ | ০ | ০ | নতুন | |
শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল | ৯৬৪ | ০ | ০ | নতুন | |
কমিউনিস্ট কেন্দ্র | ৮৮৮ | ০ | ০ | নতুন | |
জাতীয় বিপ্লবী ফ্রণ্ট | ৬৩১ | ০ | ০ | নতুন | |
সাত দলীয় জোট (মিরপুর) | ৬০২ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ হিন্দু লীগ | ৫৭০ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ পিপলস পার্টি | ৫৫৮ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ বেকার সমাজ | ৫৪৮ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ তফসিল জাতি ফেডারেশন (এসকে মন্ডল) | ৫৩৭ | ০ | ০ | নতুন | |
দেশপ্রেম পার্টি | ৫৩২ | ০ | ০ | নতুন | |
গণতান্ত্রিক সর্বহারা পার্টি | ৫০২ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ জাতীয় লীগ (সোবহান) | ৪১৮ | ০ | ০ | নতুন | |
জন দল | ৩৯৫ | ০ | ০ | নতুন | |
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (মহিউদ্দীন) | ৩৯৩ | ০ | ০ | নতুন | |
জাতীয় সেবা দল | ৩৬৫ | ০ | ০ | নতুন | |
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি | ৩৫৩ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টি | ২৯৪ | ০ | ০ | নতুন | |
ইসলামী আল জিহাদ দল | ২৮৮ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ সর্বহারা পার্টি | ২৪৮ | ০ | ০ | নতুন | |
জাতীয় দরিদ্র পার্টি | ২৪৪ | ০ | ০ | নতুন | |
শ্রমজীবী ঐক্য ফোরাম | ২২৯ | ০ | ০ | নতুন | |
ইসলামী দল বাংলাদেশ (সাইফুর) | ২২১ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ পিপলস লীগ | ২১৩ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক সংসদ (দর্শন সভা) | ২০৯ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন | ১৮৯ | ০ | ০ | নতুন | |
গণ ঐক্যফ্রণ্ট | ১৮৬ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ মেহনতী ফ্রণ্ট | ১৭৩ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ তফসিলি ফেডারেশন (সুধীর) | ১৫০ | ০ | ০ | নতুন | |
পিপলস মুসলিম লীগ | ১৪০ | ০ | ০ | নতুন | |
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী) | ১৩৮ | ০ | ০ | নতুন | |
কোরআন দর্শন সংস্থা বাংলাদেশ | ১৩৭ | ০ | ০ | নতুন | |
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি | ১৩৪ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ইসলামী পার্টি | ১৩২ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ জাতীয় অগ্রগতি পার্টি | ১৩১ | ০ | ০ | নতুন | |
ঐক্য প্রক্রিয়া | ১১২ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ভাসানী আদর্শ বাস্তবায়ন পরিষদ | ১০৭ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ বাস্তুহারা পরিষদ | ১০৫ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেস | ৯৯ | ০ | ০ | নতুন | |
কোরআন সুন্নাহ বাস্তবায়ন পার্টি | ৮২ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ তানজিমুল মুসলিমিন | ৮১ | ০ | ০ | নতুন | |
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্প্রদায় | ৪৮ | ০ | ০ | নতুন | |
ভাসানী ফ্রণ্ট | ৪৫ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ কৃষক রাজ ইসলামী পার্টি | ৩৩ | ০ | ০ | নতুন | |
ন্যাশনাল প্যাট্রিওটিক পার্টি | ৩১ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ ইসলামী বিপ্লবী পরিষদ | ২৯ | ০ | ০ | নতুন | |
তরিকায়ে ওলামায়ে বাংলাদেশ | ২৯ | ০ | ০ | নতুন | |
ইউনাইটেড পিপলস পার্টি | ২৬ | ০ | ০ | নতুন | |
বাংলাদেশ মানবাধিকার দল | ২০ | ০ | ০ | নতুন | |
স্বতন্ত্র | ৪,৪৯,৬১৮ | ১.০৬ | ১ | নতুন | |
মোট | ৪,২৪,১৮,২৭৪ | ১০০ | ৩০০ | ০ | |
বৈধ ভোট | ৪,২৪,১৮,২৭৪ | ৯৮.৯২ | |||
অবৈধ/ফাঁকা ভোট | ৪,৬২,৩০২ | ১.০৮ | |||
মোট ভোট | ৪,২৮,৮০,৫৭৬ | ১০০ | |||
নিবন্ধিত ভোটার/ভোটদান | ৫,৬৭,১৬,৯৩৫ | ৭৫.৬ | |||
উৎস: বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন |
- কিছু তথ্য
- মোট ভোট কেন্দ্র – ২৫,৯৫৭
- মোট ভোটর – ৫,৬৭,১৬,৯৩৫
- পুরুষ – ২,৮৭,৫৯,৯৯৪
- মহিলা – ২,৭৯,৫৬,৯৪১
২০০১ সালের নির্বাচন
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০১ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে প্রধান দুটি দল ছিল: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), যার নেতৃত্বে ছিলেন খালেদা জিয়া, এবং আওয়ামী লীগ, যার নেতৃত্বে ছিলেন শেখ হাসিনা। ৩০০ আসনের বিপরীতে ৫৪টি দল ও ৪৮৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ১৯৩৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় নির্বাচন ছিল। নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন লতিফুর রহমান।
ফলাফল
দল | ভোট | % | আসন | |
---|---|---|---|---|
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল | ২,২৮,৩৩,৯৭৮ | ৪০.৯৭ | ১৯৩ | |
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | ২,২৩,৬৫,৫১৬ | ৪০.১৩ | ৬২ | |
ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট | ৪০,৩৮,৪৫৩ | ৭.২৫ | ১৪ | |
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী | ২৩,৮৫,৩৬১ | ৪.২৮ | ১৭ | |
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি | ৬,২১,৭৭২ | ১.১২ | ৪ | |
ইসলামী ঐক্যজোট | ৩,৭৬,৩৪৩ | ০.৬৮ | ২ | |
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ | ২,৬১,৩৪৪ | ০.৪৭ | ১ | |
জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) | ২,৪৩,৬১৭ | ০.৪৪ | ১ | |
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) | ১,১৯,৩৮২ | ০.২১ | ০ | |
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি | ৫৬,৯৯১ | ০.১ | ০ | |
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি | ৪০,৪৮৪ | ০.০৭ | ০ | |
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট | ৩০,৭৬১ | ০.০৬ | ০ | |
বাসদ-খালেকুজ্জামান | ২১,১৬৪ | ০.০৪ | ০ | |
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ | ১৯,২৫৬ | ০.০৩ | ০ | |
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন | ১৩,৪৭২ | ০.০২ | ০ | |
গণফোরাম | ৮,৪৯৪ | ০.০২ | ০ | |
ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন | ৫,৯৪৪ | ০.০১ | ০ | |
লিবারেল পার্টি বাংলাদেশ | ৩,৯৭৬ | ০.০১ | ০ | |
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) | ৩,৮০১ | ০.০১ | ০ | |
বাংলাদেশ প্রগতিশীল দল | ৩,৭৩৪ | ০.০১ | ০ | |
গণতন্ত্রী পার্টি | ৩,১৯০ | ০.০১ | ০ | |
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল | ২,৩০৮ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ জনতা পার্টি | ১,৭০৩ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন | ১,২৪৮ | ০ | ০ | |
জাকের পার্টি | ১,১৮১ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ পিপলস কংগ্রেস | ১,১৫৫ | ০ | ০ | |
কমিউনিস্ট কেন্দ্র | ১,০৪২ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) | ৯৭২ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ হিন্দু লীগ | ৯২২ | ০ | ০ | |
গণ আজাদী লীগ | ৭৮০ | ০ | ০ | |
জাতীয় জনতা পার্টি (অ্যাড. নুরুল ইসলাম খান) | ৬৫৭ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (জমীর আলী) | ৫৮২ | ০ | ০ | |
জাতীয় দেশপ্রেমিক পার্টি | ৫৫১ | ০ | ০ | |
জাতীয় আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) | ৪৪২ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতী দল | ৪৪১ | ০ | ০ | |
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আন্দোলন | ৪২৯ | ০ | ০ | |
শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল | ৩৯১ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ পিপলস পার্টি | ৩৮২ | ০ | ০ | |
দেশপ্রেম পার্টি | ৩৬৬ | ০ | ০ | |
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান পার্টি | ৩৬৪ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ মানবাধিকার দল | ২৩৭ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টি | ১৯৭ | ০ | ০ | |
লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টি | ১৭০ | ০ | ০ | |
কুরআন দর্শন সংস্থা বাংলাদেশ | ১৬১ | ০ | ০ | |
জাতীয় জনতা পার্টি (শেখ আসাদ) | ১৪৮ | ০ | ০ | |
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি | ১৩৬ | ০ | ০ | |
সম-সমাজ গণতন্ত্রী পার্টি | ১৩১ | ০ | ০ | |
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী মোশতাক) | ৭৯ | ০ | ০ | |
কুরআন ও সুন্নাহ বাস্তাবায়ান পার্টি | ৭৭ | ০ | ০ | |
ভাসানী ফ্রন্ট | ৭৬ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ | ৫৯ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ ভাসানী আদর্শ বাস্তাবায়ন পরিষদ | ৫৮ | ০ | ০ | |
বাংলাদেশ সর্বহারা পার্টি | ৪৪ | ০ | ০ | |
জাতীয় জনতা পার্টি (হাফিজুর) | ৩০ | ০ | ০ | |
স্বতন্ত্র | ২২,৬২,০৭৩ | ৪.০৬ | ৬ | |
মোট | ৫,৫৭,৩৬,৬২৫ | ১০০ | ৩০০ | |
বৈধ ভোট | ৫,৫৭,৩৬,৬২৫ | ৯৯.২ | ||
অবৈধ/ফাঁকা ভোট | ৪,৪৯,০৮২ | ০.৮ | ||
মোট ভোট | ৫,৬১,৮৫,৭০৭ | ১০০ | ||
নিবন্ধিত ভোটার/ভোটদান | ৭,৪৯,৪৬,৩৬৪ | ৭৪.৯৭ | ||
২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত নির্বাচন ছিল, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংঘাতের সাথে যুক্ত ছিল। নির্বাচনটি ১ অক্টোবর ২০০১ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচন সম্পর্কিত প্রধান তথ্যগুলো হলো:
নির্বাচনের পটভূমি
- প্রেক্ষাপট:
- ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর, আওয়ামী লীগ সরকার নেতৃত্বাধীন ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু এর মেয়াদ শেষে নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
- ১৯৯৯ সালের পর থেকে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে থাকে, যার ফলে ২০০১ সালের নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায়।
- নির্বাচনের প্রস্তুতি:
- ২০০১ সালের নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং আওয়ামী লীগ। বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন খালেদা জিয়া এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ হাসিনা।
নির্বাচনী ফলাফল
- প্রধান দলগুলো:
- বিএনপি-জামায়াত জোট: বিএনপি এবং জামায়াত-ই-ইসলামীসহ অন্যান্য শরিক দলগুলির জোট নির্বাচনে জয়লাভ করে। বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ১৯৩টি আসন লাভ করে এবং জামায়াত-ই-ইসলামী ১৭টি আসন লাভ করে।
- আওয়ামী লীগ: আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ৬২টি আসন লাভ করে, কিন্তু এটি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
- নির্বাচনের ফলাফল:
- বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনে জয়ী হয় এবং খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন।
- নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিরোধী দল আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক অভিযোগ ওঠে, যার মধ্যে ভোট ডাকাতি, সহিংসতা ও নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ ছিল।
নির্বাচনের পরবর্তী পরিস্থিতি
- রাজনৈতিক সহিংসতা:
- নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। বিরোধী দলের নেতারা সরকারকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেন এবং বিভিন্ন এলাকায় সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
- এই সময়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ওঠে, যার মধ্যে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও নির্যাতনের অভিযোগ ছিল।
- নাগরিক প্রতিক্রিয়া:
- দেশের নাগরিক সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ফলাফলের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করে। মানবাধিকার সংগঠন এবং গণমাধ্যম সরকার ও বিরোধী পক্ষের সংঘাতের বিস্তারিত রিপোর্ট প্রদান করে।
- আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নির্বাচনের ফলাফল ও প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। কিছু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে এবং অভিযোগগুলো নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করে।
নির্বাচনের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব
- রাজনৈতিক পরিবর্তন: এই নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অধীনে নতুন আইন এবং নীতি প্রণীত হয়।
- বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়া: বিরোধী দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যায়, যা পরবর্তীতে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে।
২০০১ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাসের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলেছে।
২০০৩ – ২০০৪: রাজনৈতিক সংকট ও কার্যক্রম
- ২০০৩: ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার বহাল থাকে, তবে অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।
- ২০০৪: বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়, যা রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করে।
২০০৫ – ২০০৬: রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে
- ২০০৫: বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পায়। জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) মতাদর্শী সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
- ২০০৬: নির্বাচনী অস্থিরতা ও বিরোধী পক্ষের চাপের কারণে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে কিছু অগ্রগতি হলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকে।
২০০৮ সালের নির্বাচন
দল বা জোট | ভোট | % | আসন | +/– | |||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মহাজোট | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | ৩,৩৬,৩৪,৬২৯ | ৪৮.০৪ | ২৩০ | +১৬৮ | ||
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) | ৪৯,২৬,৩৬০ | ৭.০৪ | ২৭ | +১৩ | |||
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল | ৫,০৬,৬০৫ | ০.৭২ | ৩ | +৩ | |||
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি | ২,৬২,০৯৩ | ০.৩৭ | ২ | +২ | |||
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি | ১,৯১,৬৭৯ | ০.২৭ | ১ | নতুন | |||
মোট | ৩,৯৫,২১,৩৬৬ | ৫৬.৪৫ | ২৬৩ | +১৮৬ | |||
চার দলীয় জোট | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল | ২,২৭,৫৭,১০১ | ৩২.৫ | ৩০ | –১৬৩ | ||
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী | ৩২,৮৯,৯৬৭ | ৪.৭ | ২ | –১৫ | |||
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি | ১,৭৩,২৯২ | ০.২৫ | ১ | –৩ | |||
ইসলামী ঐক্য জোট | ১,০৮,৪১৫ | ০.১৫ | ০ | –২ | |||
মোট | ২,৬৩,২৮,৭৭৫ | 37.61 | ৩৩ | –১৮৩ | |||
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ | ৬,৫৮,২৫৪ | ০.৯৪ | ০ | ০ | |||
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ | ১,৭৫,২৪৫ | ০.২৫ | ০ | ০ | |||
বিকল্পধারা বাংলাদেশ | ১,৪৬,৮২৭ | ০.২১ | ০ | নতুন | |||
জাকের পার্টি | ১,৩৪,৯৩৩ | ০.১৯ | ০ | ০ | |||
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি | ১,০৭,৭৯৬ | ০.১৫ | ০ | নতুন | |||
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ | ১,০২,৮৭৯ | ০.১৫ | ০ | –১ | |||
গণফোরাম | ৭২,৯১১ | ০.১ | ০ | ০ | |||
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি | ৪২,৩৩১ | ০.০৬ | ০ | ০ | |||
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল | ৩৮,৬৪৩ | ০.০৬ | ০ | ০ | |||
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব) | ৩৭,৩৫০ | ০.০৫ | ০ | নতুন | |||
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট | ৩১,৭৮৫ | ০.০৫ | ০ | ০ | |||
খেলাফত মজলিস | ২৭,৯২১ | ০.০৪ | ০ | নতুন | |||
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি | ২৪,১৪১ | ০.০৩ | ০ | নতুন | |||
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি | ২১,৬০৯ | ০.০৩ | ০ | নতুন | |||
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন | ১৯,৯০৫ | ০.০৩ | ০ | নতুন | |||
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন | ১৬,৯৪৪ | ০.০২ | ০ | ০ | |||
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল | ১৪,২২৮ | ০.০২ | ০ | নতুন | |||
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি | ১০,৩৪৮ | ০.০১ | ০ | নতুন | |||
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি | ৮,৩৮৩ | ০.০১ | ০ | নতুন | |||
জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) | ৭,৮১৮ | ০.০১ | ০ | –১ | |||
বাংলাদেশ ন্যাপ | ৪,৩৬৫ | ০.০১ | ০ | নতুন | |||
গণফ্রণ্ট | ৪,০০৯ | ০.০১ | ০ | নতুন | |||
ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন | ৩,৫৪২ | ০.০১ | ০ | নতুন | |||
গণতন্ত্রী পার্টি | ২,৫৫০ | ০ | ০ | ০ | |||
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি | ২,০২১ | ০ | ০ | নতুন | |||
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ | ১,১১৩ | ০ | ০ | ০ | |||
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ | ১,০২০ | ০ | ০ | নতুন | |||
বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি | ৫৬৬ | ০ | ০ | নতুন | |||
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) (বড়ুয়া) | ২৯৭ | ০ | ০ | ০ | |||
স্বতন্ত্র | ২০,৬০,৩৯২ | ২.৯৪ | ৪ | –২ | |||
না-ভোট | ৩,৮১,৯২৪ | ০.৫৫ | – | – | |||
মোট | ৭,০০,১২,১৯১ | ১০০ | ৩০০ | ০ | |||
বৈধ ভোট | ৭,০০,১২,১৯১ | ৯৯.১ | |||||
অবৈধ/ফাঁকা ভোট | ৬,৩৬,২৯৪ | ০.৯ | |||||
মোট ভোট | ৭,০৬,৪৮,৪৮৫ | ১০০ | |||||
নিবন্ধিত ভোটার/ভোটদান | ৮,১০,৮৭,০০৩ | ৮৭.১৩ | |||||
উৎস: নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ |
২০০৭ – ২০০৮: সেনা-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
- ২০০৭: বাংলাদেশে সেনা-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যা নির্বাচনী সংস্কার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।
- ২০০৮: নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন। সরকার দুর্নীতি ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
- সাধারণ নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের পর থেকেই নানা ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়। তবে, প্রশাসনিক দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠতে থাকে।
২০০৯ – ২০১০: উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
- ২০০৯: শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন। সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।
- ২০০৯: একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
- ২০১০: বাংলাদেশের প্রথম সমুদ্রসীমা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাফল্য অর্জিত হয় যখন আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল বাংলাদেশকে বঙ্গোপসাগরের একটি অংশে ভূখণ্ড দেয়।
২০১১ – ২০১২: অর্থনৈতিক উন্নতি ও রাজনৈতিক উত্তেজনা
- ২০১১: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করে। দেশটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নতির পথ ধরে।
- ২০১১: নানা সরকারি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি এবং সরকারী প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
- ২০১২: রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিরোধী পক্ষের সাথে সংঘাতের ঘটনা বৃদ্ধি পায়। রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিক্ষোভের ফলে জনজীবনে অসুবিধা তৈরি হয়।
- ২০১২: স্থানীয় নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বাজেট ব্যবহারে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও শাস্তির দাবি ওঠে।
২০১৩ – ২০১৪: নির্বাচনী সহিংসতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
- ২০১৩: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪২তম বার্ষিকীতে বিশাল উত্সব অনুষ্ঠিত হয়। একই বছর, রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিক্ষোভের ঘটনা বৃদ্ধি পায়।
- ২০১৪: জাতীয় নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসে। বিরোধী দলের আন্দোলন ও সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন পরিচালিত হয়।
- ২০১৪: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বিরোধী পক্ষ অভিযোগ করে যে, নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি সহিংসতা ও অনিয়মের মধ্যে পড়েছে। নির্বাচনী দুর্নীতির অভিযোগও উঠে।
২০১৫ – ২০১৬: নিরাপত্তা সংকট ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ
- ২০১৫: আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীরা হামলা ও সহিংসতার ঘটায় এবং দোষ দেয়া হয় বাংলাদেশের সকল জামায়াত, শিবির এবং হেফাজত ইসলামের নিরোহ নেতাদের উপর। নাম দেয় জঙ্গি হামলা।
- ২০১৫: বিভিন্ন সংবিধানবিরোধী কার্যক্রম এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে। সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী পক্ষ আন্দোলন শুরু করে, বিশেষ করে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে।
- ২০১৬: গুলশানে একটি ক্যাফেতে সন্ত্রাসী হামলা ঘটে, যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাব ফেলে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়।
২০১৭ – ২০১৮: রোহিঙ্গা সংকট ও নির্বাচন
- ২০১৭: মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে প্রবাহিত হওয়া শুরু হয়, যা মানবিক সংকট সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানায়।
- ২০১৭: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পরেও দুর্নীতির অভিযোগ দেখা দেয়। রোহিঙ্গাদের সাহায্য ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
- ২০১৮: জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় লাভ করে, তবে বিরোধী পক্ষ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভিযোগ করে।
- ২০১৮: জাতীয় নির্বাচন আবার বিতর্কিত হয়। নির্বাচনী অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি, বিরোধী পক্ষের অভিযোগ ওঠে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং ভোটকেন্দ্রে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
২০১৯ – ২০২০: উন্নয়ন প্রকল্প ও করোনাভাইরাস
- ২০১৯: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কার্যকর হয়।
- ২০১৯: সরকার বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করে। তবে, প্রকল্পের বাজেট ব্যবহারে ও কর্মসূচির বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগ দেখা দেয়।
- ২০২০: COVID-১৯ মহামারী বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
- ২০২০: COVID-১৯ মহামারী চলাকালে ত্রাণ বিতরণ এবং স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পিপিই ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ পায়।
২০২১ – ২০২২: মহামারীর প্রভাব ও উন্নয়ন পরিকল্পনা
- ২০২১: মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালানো হয়। সরকার টিকা কর্মসূচি শুরু করে এবং জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উদ্যোগ নেয়।
- ২০২১: মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টার মাঝে দুর্নীতি ও সরকারের কার্যক্রম নিয়ে আরও অভিযোগ ওঠে। সরকারি প্রকল্প ও ত্রাণ কার্যক্রমে অনিয়মের ঘটনা বৃদ্ধি পায়।
- ২০২২: বাংলাদেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। উন্নয়ন প্রকল্প এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত হয়।
- ২০২২: বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দুর্নীতির বিস্তার ঘটে। সুশাসন এবং স্বচ্ছতার অভাবের কারণে সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী পক্ষের অভিযোগ আরও তীব্র হয়।
২০২৩ – ২০২৪: বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
- ২০২৩: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়। বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান থাকে।
- ২০২৩: সরকারের দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ বৃদ্ধি পায়। নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতির সময় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে।
- ২০২৪: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন লক্ষ্য অনুযায়ী নতুন পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
- ২০২৪: বর্তমান সরকারের কার্যক্রম এবং প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ গুরতর আকার ধারণ করে। বিরোধী পক্ষ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন গড়ে তোলে।
বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ ২০০৮ – ২০২৪
বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় এবং বিভিন্ন ধরনের ঋণ অন্তর্ভুক্ত করে। এখানে ২০০৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ সম্পর্কে একটি সারাংশ প্রদান করা হলো:
- সরকারি ঋণ:
- ২০০৮: বাংলাদেশ সরকারের মোট ঋণ ছিল প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা।
- ২০২৪: সরকারী ঋণ বর্তমানে প্রায় ১০০০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে (এক ট্রিলিয়ন টাকা)।
- বৈদেশিক ঋণ:
- ২০০৮: বৈদেশিক ঋণ ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
- ২০২৪: বৈদেশিক ঋণ বেড়ে প্রায় ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা (১৪০০০০ কোটি টাকা) হয়েছে।
- খেলা পি ঋণ:
- ২০০৮: খেলা পি ঋণের পরিমাণ ছিল তুলনামূলকভাবে কম।
- ২০২৪: খেলা পি ঋণ সম্পর্কিত স্পষ্ট পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন, তবে সামগ্রিক ঋণের মধ্যে এটি একটি ছোট অংশ।
- সার্বিক ঋণ:
- ২০০৮: মোট ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।
- ২০২৪: সার্বিক ঋণ বেড়ে প্রায় ১.২ লক্ষ কোটি টাকা (১২০০০০ কোটি টাকা) ছাড়িয়েছে।
এটি একটি সাধারণ ধারণা প্রদান করে, সঠিক এবং আপডেটেড পরিসংখ্যানের জন্য সরকারি রিপোর্ট, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক ঋণ দাতা সংস্থাগুলির প্রতিবেদন দেখুন।
২০০৮ সালের বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ছিল :
- ২০০৮ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ কোটি (১৫০ মিলিয়ন)।
২০২৪ সালের জনসংখ্যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা:
- ২০২৪ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা আনুমানিক ১৭ কোটি (১৭০ মিলিয়ন) বা তার কিছু বেশি হতে পারে।
২০০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নতি, সামাজিক সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলোর মাঝে বাংলাদেশের জনগণ তাদের উন্নতির জন্য সংগ্রাম করে চলেছে।