আশুলিয়ায় ডিস ব্যবসা নিয়ে হামলা: ৬ বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

ঢাকার আশুলিয়ায় ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এক যুবক আহত হয়েছেন, যিনি এখন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। হামলার কারণে আশুলিয়া এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

হামলার সময় ও স্থান

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আশুলিয়ার গাজীরচট মধ্যপাড়া এলাকায় হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাজির হয় এবং বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুর করে। আহত যুবক তাহমিদ আবির (১৯) আশুলিয়ার চিত্রসাইল এলাকার ছাদেক আলীর ছেলে।

অভিযুক্তরা

হামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে কবির হোসেন, যিনি ধামসোনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। তার ভাই সোহাগ, পিতা তোতা মিয়া, মৃত আবু সাঈদের ছেলে সিয়াম, রনি এবং অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন যুবকও হামলায় অংশ নেয়।

ডিস ব্যবসা

আবদুল লতিফ আকাশ ২০০৮ সাল থেকে মধ্য গাজীরচট ক্যাবল নেটওয়ার্ক নামে ডিস ব্যবসা করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই অভিযুক্তরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের ডিসলাইন দখল করে নেয়। আবদুল লতিফ নিয়মিতভাবে লাইসেন্স সচল রাখার জন্য ভাড়া পরিশোধ করে এলেও হামলাকারীরা তাদের ব্যবসায় বাধা দেয়।

হামলার ধরন

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কবির হোসেন ও তার সহযোগীরা লোহার রড, লাঠি, ছোরা, রামদা ও চাপাটিসহ হামলা চালায়। তারা আবদুল লতিফের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং বাড়ির সামনের দোকানে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি করে। হামলার সময় আবদুল লতিফ বাড়িতে ছিলেন না।

ভুক্তভোগীদের কথা

ভুক্তভোগী আবদুল লতিফ বলেন, “যুবলীগের কর্মীরা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি এবং সুষ্ঠ বিচার চাই।” হামলার পর বাড়ির মালিকরা বলেন, “হামলাকারীরা মাস্ক পরা ছিল। তাদের অনেককে আমরা চিনিনা। আমাদের বাড়িতে হামলা কেন হলো, সেটা আমাদের বুঝতে হবে।”

তদন্তের অবস্থা

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগের কপি এখনও হাতে পাননি। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আবিরের আহত হওয়া

একই রাতে সোহাগ ও সিয়ামের নেতৃত্বে আরও এক হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে আব্দুস সালামের ছেলে আবিরকে কুপিয়ে আহত করা হয়। তিনি এখন সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার ঘটনায় আবিরের বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সুষ্ঠু তদন্তের দাবি

এখন এলাকাবাসী আশা করছেন, প্রশাসন দ্রুত এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ডিস ব্যবসার কারণে এই ধরনের হামলা ও সহিংসতা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।