আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, ১৬ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা একটি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। শ্রমিকদের এই আন্দোলনে বেতন বাড়ানোর দাবিও রয়েছে। তাদের এই বিক্ষোভের ফলে চারটি কারখানার কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন।

ঘটনা কীভাবে শুরু হলো

গত শনিবার সকালে, শ্রমিকরা লুসাকা গামের্ন্টসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা বলেন, কিছু দিন আগে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কারণে লুসাকা কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। এই কারখানা আবার খুলে দেওয়ার দাবি নিয়ে শ্রমিকরা একত্র হন। পরে, তাদের সঙ্গে যোগ দেন মণ্ডল গ্রুপ ও ম্যাংগো টেক্সের শ্রমিকরাও।

শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে, কর্তৃপক্ষ চারটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বর্তমানে ১৬টি কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

শ্রমিকদের দাবি

শ্রমিকরা জানান, তারা তাদের অধিকার ও বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করছেন। লুসাকা কারখানা বন্ধ থাকায় তাদের জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা বলছেন, “আমাদের বেতন বাড়াতে হবে এবং বন্ধ কারখানা খুলে দিতে হবে। এই দাবি আদায় না হলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, শ্রম আইনের ২০০৬ সালের ১৩(১) ধারার আওতায় ১২টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।” তিনি আরও বলেন, শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন এবং যৌথ বাহিনী টহল কার্যক্রম চালাচ্ছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

বর্তমানে শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বিভিন্ন কারখানার সামনে অবস্থান করছেন এবং দাবি আদায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেলে তারা সড়ক ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।

শ্রমিকদের অবস্থান

বিক্ষোভের সময় শ্রমিকরা বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কে অবস্থান নেন। তারা বিভিন্ন দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। এই অবস্থায় আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি হয় এবং কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন।

সামগ্রিক পরিস্থিতি

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে এই ধরনের আন্দোলন নতুন নয়। শ্রমিকদের বেতন ও কর্মপরিবেশ নিয়ে এর আগে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন হয়েছে। শ্রমিকরা মনে করেন, তাদের দাবি যথাযথভাবে মানা না হলে ভবিষ্যতে আরো বড় আন্দোলন হতে পারে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।